আজ ২১ জুন ২০২৪, বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব সংগীত দিবস। এই দিনটি সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি বিশেষ দিন হিসেবে চিহ্নিত, যেখানে তারা বিভিন্ন ধরণের সংগীত উপভোগ করেন এবং উৎসবের মেজাজে মেতে ওঠেন।
বিশ্ব সঙ্গীত দিবসের শুরু ফ্রান্সে, ১৯৮২ সালে। ফ্রান্সের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ধারণা ছিল যে সবার জন্য, পটভূমি বা ঐতিহ্য নির্বিশেষে, সরাসরি সঙ্গীত উপলব্ধ করতে।
বিশ্ব সংগীত দিবস উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স-এ (টুইট) মন্তব্য করে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “আজ বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে পৃথিবীর কোটি কোটি সঙ্গীতপ্রেমী মানুষকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আজ সঙ্গীতের সার্বজনীন ভাষাকে স্মরণ করার দিন। আমি সবসময়ই মনে করেছি, সঙ্গীতের কোনো ভৌগোলিক সীমানা হয় না। আবহমান কাল ধরে আমাদের হৃদয়ে এর স্থান। সঙ্গীতের ঝংকারেই মূর্ত হয় শান্তি, ভালোবাসা ও সম্প্রীতি। “
মুখ্যমন্ত্রীর এক্স-এ (টুইটে) এই বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি নিজের রচনা করা একটি সংগীতের কিছু পংক্তি উদ্ধৃত করেছেন। তাঁর মতে সংগীত আমাদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এটি আমাদের মানসিক শান্তি এবং সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। তাঁর এই বার্তা কেবল রাজ্যবাসীর কছেই নয়, সমস্ত বিশ্ববাসীর উদ্দেশ্যে।
বিশ্ব সংগীত দিবসে কলকাতায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় শিল্পী থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক তারকারা এই অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তার ধারে, পার্কে এবং ময়দানে সংগীতের অনুষ্ঠান চলছে, যেখানে মানুষের ঢল নেমেছে।
কলকাতার পাশাপাশি, মুম্বাই, দিল্লি, বেঙ্গালুরুসহ দেশের বিভিন্ন শহরেও বিশ্ব সংগীত দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। মানুষ গান গাইছে, নাচছে এবং বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে এই দিনটি উদযাপন করছে।
বিশ্ব সংগীত দিবসের এই বিশেষ দিনে, আমরা সকলেই সংগীতের শক্তি এবং এর মাধুর্যের প্রশংসা করি। সংগীত আমাদের জীবনে সুখ, শান্তি এবং আনন্দ এনে দেয় এবং এটি আমাদের সংস্কৃতির একটি অমূল্য অংশ।
আসুন, আমরা সবাই এই থিমকে সামনে রেখে সংগীতের মাধ্যমে একে অপরের সাথে আরও কাছাকাছি আসি এবং আনন্দে মেতে উঠি।
[আরো পড়ুন:👉 স্বাধীনতা দিবসের আগেই চালু হচ্ছে বন্দে ভারত স্লিপার কোচ স্পেশাল ট্রেন!]
Leave a Reply