গৃহস্থালির কাজে রোজই আগুনের কাছে কত রকমের কাজ করতে হয় আমাদের, একটু অন্যমনস্ক হয়ে গেলে বা তাড়াতাড়ি কাজ করতে গিয়ে প্রায়ই আমাদের ছ্যাঁকা খেতে হয়। কখনও রান্না করতে গিয়ে গরম কড়াইয়ে ছ্যাঁকা খেয়ে যেতে হয়। কিম্বা তেল ছিটকে এসে হাত পুড়ে যাওয়ার ঘটনা হামেশাই ঘটে থাকে। শুধু তাই নয় তাড়াহুড়োয় জামাকাপড় ইস্তিরি করার সময়ও ছ্যাঁকা লাগে।
সেই সময় জ্বালা কমাতে অনেকেই ঘরোয়া কিছু টোটকা ব্যবহার করে থাকেন। নিজের মতো চিকিৎসা করতে গিয়ে মাঝেমাঝেই কিছু ভুল হয়ে যায়। তার থেকে জন্ম নেয় বড় কোনও সমস্যা।
আমাদের ছ্যাঁকা লাগলেই আমরা বেশিরভাগ মানুষই টুথপেস্ট লাগাই কিম্বা বরফ চেপে ধরি ওই ক্ষত স্থানে। কিন্তু এটি মোটেও ভালো উপায় নয় বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
[আরো পড়ুন:👉 যখন সূর্যের থেকেও আকারে বড় এই তারাটি হারিয়ে যায় ! কি হয়েছিল আসুন জেনে নেওয়া যাক]
ফোস্কায় ভুলেও বরফ কিংবা টুথপেষ্ট লাগানো মোটেই ভালো নয়। তারচেয়ে কলের ঠান্ডা জলের নীচে বেশ খানিক ক্ষণ হাত রেখে দেওয়া অনেক ভালো একটি উপায়। এছাড়াও হাতের কাছে ওষুধ না থাকলে তাৎক্ষণিক জ্বালাপোড়া কমাতে ঠান্ডা জল ছাড়া আর কী কী ব্যবহার করতে পারেন?
১. শসার রস :– শসার টুকরো ক্ষতস্থানের জ্বালা ভাব কমায়। কারণ এতে এমন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা যে কোনও প্রদাহকে কমাতে সহায়তা করে। এ ছাড়া শসায় থাকা প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড ত্বককে মোলায়েম ও কোমল রাখে।
২. মধু :– ক্ষতস্থান থেকে ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া দূর করতে ও জ্বালাভাব কমাতে মধু বেশ কাজে আসে। তাই মধু রান্নাঘরে সব সময় রেখে দিন। কোনভাবে গরম লাগলে ত্বকে ঠান্ডা জলে ক্ষতস্থান রাখার পর বেশ খানিকটা মধু লাগিয়ে রাখলেই স্বস্তি পাবেন।
৩. অ্যালোভেরা জেল :– ক্ষতস্থানে অ্যালো ভেরা লাগালে সেই স্থান ঠান্ডা হয় ও জ্বালাভাবও কমে। বাড়িতে অ্যালো ভেরা গাছ থাকলে তার পাতা ছিঁড়ে সরাসরি ক্ষতস্থানের উপরে লাগিয়ে নিতে পারেন।
না থাকলে অ্যালোভেরা জেল দোকানেও কিনতে পাওয়া যায় বাড়িতে এসব দরকারি জিনিস গুলি মজুত রাখুন। অ্যালো ভেরা পোড়া অংশের দাগ মেলাতেও সাহায্য করে।
[আরো পড়ুন:👉 বাড়ির আশেপাশে জন্মানো এই আগাছা ডেকে আনতে পারে মহাবিপদ। আসুন জেনে নেওয়া যাক এর থেকে বাঁচার উপায়]
4 thoughts on “কাজ করতে গিয়ে গরম ছ্যাঁকা খেয়েছেন? হাবিজাবি না লাগিয়ে সঠিক জিনিস লাগান ক্ষতস্থানে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কি উপায়ে জ্বালাপোড়া থেকে আরাম পাবেন।”