সমাজের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটা মানুষেরই একজন জীবন সঙ্গী থাকে বা রাখা উচিত। এত কাল সেটাই চলে আসছে। সকলের আগামী প্রজন্মের বিস্তারের জন্য বিবাহ করে সন্তান উৎপন্ন করে এবং এটিকে সামাজিক ধর্ম বলেই মনে করে। কিন্তু বর্তমানে সময় বদলেছে। এখন সুখী দাম্পত্য লটারির মত অবস্থায় পৌঁছেছে। দুটো মানুষের পছন্দ মিলে গেলে ভালো নয়তো দাম্পত্য জীবন ছারখার হতে বেশি সময় লাগে না।
একটা টক্সিক জীবন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যে কি কষ্টের যারা বয়ে বেড়াচ্ছে তারাই জানে। আর এই উদাহরণ দেখে দেখে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে বিয়ে না করার ইচ্ছে অনেক বেশি জাগছে। এমন দো -টানার রিস্ক অনেকেই আর নিচ্ছে না। এর চেয়ে সিঙ্গেল থাকা কে অনেক বেশি প্রায়োরিটি দিচ্ছেন।
কিন্তু এতেও মনে একটা সংশয় থাকছে। সারাজীবন একা থাকতে পারব তো। সিঙ্গেল থাকার অনেক সুবিধা রয়েছে আসুন এক এক করে সেগুলো জেনে নিই।
একটা সাংসারিক জীবনে অনেক কিছুই আমরা ইচ্ছে মত করতে পারি না যেটা একজন সিঙ্গেল মানুষ অনায়াসেই করতে পারে।এই যেমন ধরুন,
১. প্রতিটা মানুষেরই উচিত নিজেকে একটু সময় দেওয়া সেটা যেকোনো কিছু হতে পারে কিন্তু দাম্পত্যে সঙ্গীকে সময় দিতে দিতেই সময় চলে যায়, নিজেদের জন্য সময় বের করা মুশকিল হয়ে পড়ে।
২. সিঙ্গেল লাইফ মানেই হলো নিজের মতো করে বাঁচা। কেউ তোমায় কোনো কিছুতে বাধা দিতে পারবে না। তুমি সম্পূর্ণ তোমার শর্তে বাঁচতে পারবে।
৩. অনেক সময় সিঙ্গেল মানুষরা সুখী দম্পতিদের দেখলে একটু খারাপ বোধ করে কিন্তু দাম্পত্যে দুটো মানুষ কোনো দিনই সকল সময় একরকম থাকে না, তাদের মধ্যে অনেক সময় এমন মনোমালিন্য অব্দি হয়ে থাকে যে দিনের পর দিন একই বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও তাদের মধ্যে কথা বার্তা থাকে না। অনেক ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়। কিন্তু একটা সিঙ্গেল মানুষের এত জ্বালা নেই। সে কারো কাছে কোনো কিছুর জন্যই দায়বদ্ধ থাকে না।
৪. মন চাইলেই যেখানে ইচ্ছে সেখানে বেরিয়ে পড়া যায় সিঙ্গেল থাকলে কিন্তু একটা বিবাহিত মানুষ চাইলেই বেরিয়ে পড়তে পারে না সব জায়গায় তার বউ বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে তবে যেতে হয়।
এছাড়াও এমন অনেক ছোট ছোট সমস্যা আছে যাতে করে নিজের মতো করে বাঁচা আর হয়না বিবাহিতদের তবে একটা সিঙ্গেল মানুষ কোনো ঝামেলা ছাড়াই তার জীবন অতিবাহিত করতে পারে।
[আরো পড়ুন:👉 স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য রেসভেরাট্রল: সত্যি নাকি মিথ্যা?]