রোহিত শর্মা এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমাম-উল-হক এবং ইনজামাম-উল-হকের মধ্যে সাম্প্রতিক কালে বাগযুদ্ধ শুরু হয়েছে। ইমাম-উল-হক যখন রোহিত শর্মার মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন, তখন গোটা দুনিয়া বুঝতে পারে যে এই বিতর্ক সহজে থামবে না। ইনজামাম মৃদু ভাষায় হলেও রোহিতকে জানাতে চান যে, তাদের রিভার্স সুইং সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
সম্প্রতি, ইনজামাম-উল-হক অভিযোগ করেন যে, অর্শদীপ সিং এর ওভার সম্পর্কে বল ট্যাম্পারিং করা হয়েছে। তিনি বলেন, আম্পায়ারদের আরও সতর্ক হতে হবে। এর পরেই রোহিত শর্মা পাল্টা জবাব দেন যে, এই ধরণের মন্তব্য করা উচিত নয় এবং আরও বলেন যে, এখানে পিচ সম্পূর্ণ শুষ্ক, যার কারণে রিভার্স সুইং সম্ভব।
পাকিস্তানে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া আসে, বিশেষত ডক্টর নুমান, যিনি পাকিস্তানের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ, এই বিতর্কে রোহিত শর্মার পক্ষে কথা বলেন এবং ইনজামামের মন্তব্যকে “হিপোক্রিটিকাল” বলে অভিহিত করেন।
ইনজামাম-উল-হক ২০০৬ সালে ইংল্যান্ড-পাকিস্তান ম্যাচে বল ট্যাম্পারিংয়ের কারণে হেরে যাওয়া প্রথম অধিনায়ক ছিলেন। সে সময় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভালে চতুর্থ টেস্ট ম্যাচে পাকিস্তানের দল বল ট্যাম্পারিংয়ের অভিযোগে পাঁচ রান পেনাল্টি পায় এবং পরে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
ইনজামামের মন্তব্যের জবাবে রোহিত শর্মা বলেন, “এখানকার পিচ সম্পূর্ণ শুষ্ক, তাই এখানে রিভার্স সুইং হতে পারে।” এই বিতর্কের পর, রোহিত শর্মার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইনজামাম বলেন, “আমরা জানি রিভার্স সুইং কীভাবে হয়, আমাদের শেখানোর প্রয়োজন নেই।”
এই বিতর্কে আরও উল্লেখ করা হয় যে, এর আগেও পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে বল ট্যাম্পারিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। ভাকার ইউনিস এবং শোয়েব আখতার এই বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছেন এবং শাহিদ আফ্রিদি বল কামড়ানোর সময় ধরা পড়েছিলেন।
পাকিস্তানি ক্রিকেট ভক্তরা বলছেন যে, ইনজামামের মন্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে যে তিনি রোহিতের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেননি। তবে এই বিতর্ক থামার সম্ভাবনা কম।
o5mwg7vmwcxr37
Nyton Guest House