১ জুলাই ২০২৪ থেকে দেশে অনেক কিছু বদলে যাচ্ছে তিনটি নতুন অপরাধ আইন কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে। এখন IPC-এর পরিবর্তে “ভারতীয় নয়া সংহিতা” (BNS), CrPC-এর পরিবর্তে “ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা” (BNSS) এবং “ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট” এর পরিবর্তে “ভারতীয় সাক্ষী অধিনিয়ম” (BSL) প্রবর্তিত হয়েছে। এই তিনটি আইন গত বছর সংসদে গৃহীত হয়েছিল এবং এখন নতুন আইনের প্রবর্তনের সাথে সাথে পুরনো আইনগুলির বলাবাহুল্য ইতি হয়েছে।
সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত নতুন ধারা
নতুন আইনে সন্ত্রাসবাদের একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। অনেক অপরাধ ছিল যেগুলি IPC-তে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত ছিল না। নতুন আইনে ভারতের একতা, অখণ্ডতা, নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করার কর্মকাণ্ড সন্ত্রাসবাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। BNS-এর ধারা ১১৩ এ সন্ত্রাসবাদের সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে, যেখানে ভারতীয় মুদ্রার পাচারও অন্তর্ভুক্ত। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য আজীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্রের জন্য ৫ বছর থেকে আজীবন কারাদণ্ডের ব্যবস্থা রয়েছে।
নতুন আইনের বিভিন্ন ধারা
- দেশদ্রোহ: BNS-এর ধারা ১৫২ এ রাজদ্রোহ বিলুপ্ত করে ভারতের একতা ও অখণ্ডতাকে বিপন্ন করার ঘটনাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
- মব লিঞ্চিং: BNS-এর ধারা ১০৩২ এ মব লিঞ্চিং এর জন্য আজীবন কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
- ধারা পরিবর্তন: IPC-এর ধারা ৩০২ এখন BNS-এর ধারা ১০১, ধারা ৩০৭ এখন ধারা ১০৯, ধারা ৩০৪ এখন ধারা ১০৫, এবং ধারা ৩৭৯ এখন ধারা ৩০৩ তে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও, ধারা ৩৭৬ পরিবর্তিত হয়ে ধারা ৬৪, এবং ধারা ৪২০ পরিবর্তিত হয়ে ধারা ৩১৮ হয়েছে।
অন্যান্য অপরাধ
- দু:স্কর্ম: BNS-এর ধারা ৬৪ এর আওতায়।
- ছিনতাই: ধারা ৩০৯ ও ৩১০ এর আওতায়।
- দুর্নীতি: ধারা ৩১৮ এর আওতায়।
এই সমস্ত নতুন আইনের অধীনে ১ জুলাই থেকে কার্যক্রম শুরু হবে এবং মামলা গৃহীত হবে।
এই নতুন আইনগুলি প্রবর্তনের ফলে দেশে আইনি প্রক্রিয়া এবং অপরাধের সংজ্ঞায় পরিবর্তন এসেছে, যা আরও নির্ভুল এবং সুসংহত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।