ব্যাংকে জমানো আপনার টাকার উপর সুদের পরিমাণ আপনার অজান্তেই ব্যাংক কেটে নিচ্ছে না তো !
এই মে মাসটাই আর সময় আছে এখনই ফিলাপ করতে হবে ফর্ম না হলে হারাতে হবে টাকা। আসলে আমরা বলছি TDS (টিডিএস) এর কথা। TDS (টিডিএস) এই শব্দটা শুনলে অনেকেই ঘাবড়ে যেতে পারেন। কখনোও বা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে বলে থাকতে পারেন TDS (টিডিএস) এর ব্যাপারে। TDS (টিডিএস) আসলে ‘ট্যাক্স ডিডাক্টেড সোর্স’ অর্থাৎ ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট যে সমস্ত উৎস থেকে ট্যাক্স সংগ্রহ করে থাকে।
সেই রকমই একপ্রকার হল ব্যাংকে করা ফিক্সড ডিপোজিটের উপর সুদের অংশ। যদি আপনার কোনো ব্যাংকে ফিক্স ডিপোজিট করা থাকে তাহলে মে মাসের মধ্যেই জমা দিতে হবে ‘15 জি’ বা ‘15 এইচ’ ফর্ম। এই ফর্ম দুটির মধ্যে যেকোনো একটিকে না জমা করলে সেই সুদের টাকা কেটে নেবে ব্যাংকের মাধ্যমে ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট।
যদি মোটা রকম টাকা আপনি ব্যাংকে ফিক্স ডিপোজিট রূপে রাখেন এবং বছরে ৪০,০০০ উপরে সুদ হয় এবং আপনার বয়স ৬০ বছরের নীচে হয় তাহলে আপনাকে জমা করতে হবে ফর্ম 15 জি আর আপনার বয়স যদি ৬০ বছরের উপরে হয় তাহলে আপনাকে জমা করতে হবে ফর্ম 15 এইচ।
কোথা থেকে পাবেন এই ফর্ম?
আপনি আপনার হোম ব্রাঞ্চে ভিজিট করে কালেক্ট করতে হবে এই ফর্ম। তারপর সেটাকে সাবধানে পূরণ করতে হবে। পূরণ করার সময় গত বছরের সুদের হিসাব লিখতে হবে। যদি সব ঠিকঠাক থাকে তবে জমা করুন মে মাসের মধ্যেই নতুবা হারাতে হতে পারে বেশ কিছু টাকা।
যদি ফিল আপ না করেন কত কত টাকা কাটবে?
বছরে ৪০ হাজার টাকার বেশি সুদ পেলেই টিডিএস কাটে আয়কর বিভাগ। এবার আপনার যদি প্যান কার্ড না থাকে তবে ২০% অর্থ ওখান থেকে টিডিএস হিসেবে কেটে নেওয়া হবে। আর যদি আপনার প্যান কার্ড থাকে কিন্তু Form 15G বা 15H এই দুটোর কোনও একটিও ফিলাপ করে না থাকেন তবে আপনাকে ১০% টিডিএস দিতে হবে আয়কর বিভাগকে। এই গোটা প্রক্রিয়ার সারতে হবে ১ জুনের মধ্যে।
যদিও ফিক্স ডিপোজিটের ওপর সুদ ৪০ হাজার টাকার কম হয় তাহলে নাও করতে পারেন। তবে জমা করলে ক্ষতি নেই। তাই বেশিরভাগ মানুষ বছরের এই সময় যত্ন সহকারে এই দুটি ফর্ম কে গুরুত্ব দিয়ে ভরে থাকে