সম্প্রতি গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে যে খবরটি উড়ে বেড়াচ্ছে তা নিঃসন্দেহে গত এসআরএইচ বনাম এলএসজি ম্যাচকে ঘিরেই। আমরা যারা সেই দিনের ম্যাচটা দেখেছি তারা সকলেই জানি মাঠের মধ্যে কি রকম ভাবে এলএসজির মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা নিজের মেজাজ হারিয়েছেন তার দলের অধিনায়কের উপরে, যা ঐখানে উপস্থিত কারোরই হয়তো ভালো লাগে নি, বিশেষ করে যারা এলএসজি অধিনায়ক কে এল রাহুলের ফ্যান তাদের তো একেবারেই ভালো লাগে নি। এভাবে একটা ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য কাউকে এভাবে চিৎকার করা কি যায়? সেই নিয়েও উঠছে নানান প্রশ্ন। অন্যান্য দলের মালিকরা তো এমনটা করছেন না। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই একটা কথা খুব শুনতে পাওয়া যাচ্ছে ” সবাই শাহরুখ খান হয়না “।
অধিকাংশ দর্শক মহলে এই কথাটি বার বার শুনতে পাওয়া গেছে। কেনো বলছেন সকলে এই কথা আসুন একটু জেনে নেওয়া যাক।
গত দিনের এসআরএইচ বনাম এলএসজি ম্যাচে লখনউ টিমের হার ছিল অত্যন্ত দুঃখজনক কিন্তু সেটাই তো শেষ নয় অনেক ভালো খেলাও তো এই টিমের থেকে আমরা পেয়েছি অথচ এইদিন এই টিমের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা যেভাবে চিৎকার করেন কেএল রাহুলের বিরুদ্ধে বা যেভাবে তার বিষোদগার করছিলেন তাতে সারা দেশের ক্রিকেট ফ্যানরা অত্যন্ত হতাশ হয়েছেন। তারা কেএল রাহুলকে আবেদন করেছেন যে এত অসম্মান নিয়ে এলএসজিতে যেনো তিনি না খেলেন। তারা চেয়েছেন এই চুক্তি ভেঙে যেন বেরিয়ে আসে ভারতের তারকা ব্যাটার রাহুল, সে কথাও বলেছেন তারা। আর কেনোই বা বলবেন না, যেখানে আর এক দলের মালিক তার দলের সাথে যেভাবে সুন্দর ও পেশাদার ব্যবহার করে চলেছেন সেটা দেখেই দর্শক মহলের মধ্যে নানান কথা উঠছে। আর এই অন্য দলের মালিক বলতে কেকেআর মালিক শাহরুখ খানের কথাই বলা হচ্ছে তার নিদর্শন আমরা বহু ম্যাচে পেয়েছি এর আগেই।
শাহরুখ খান প্রায় ২০০৮ থেকে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আছেন৷ তাঁর দল ২ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে একেবারে লিগ টেবলের শেষ দিকে এসে হেরে গিয়েছে। আবার একাধিকবার প্লে অফের যোগ্যতাও অর্জন করতে পারেনি কেকেআর৷ কিন্তু এত কিছুর পরেও সকলের সামনে কখনও খারাপ ব্যবহার করেন নি বাদশা, তিনি জানেন কখন কি করতে হয় আর কখন হয়না।
একটা সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যখন কেকেআর অধিনায়ক ও ক্রিকেটার হিসেবে ছিলেন তখন নাইট রাইডার্স সেভাবে ভালো পারফরমেন্স না দিতে পারলে তাঁর সঙ্গে শাহরুখের সম্পর্কর একটু অবনতি হতে শোনা গেলেও, সেই সব ঝামেলার কোনও ভিজুয়াল ডিসপ্লে কোনও কেউ দেখেনি। বরং সব সময় তাকে তার দলের সকলকে মোটিভেট করতেই বেশি দেখা গিয়েছে। আমরা এই বছরেও দেখেই দাদা কে দেখেই কিভাবে এসে জড়িয়ে নিয়েছেন কিং খান। তাই গোটা সোশ্যাল নেটওয়ার্কস ধিক্কার জানাচ্ছেন গোয়েঙ্কর এমন ব্যবহারে। এটি অত্যন্ত অপেশাদার একটি কাজ বলেও বলছেন অনেকেই।