গত কয়েক বছরের তুলনায় এই বছর গরমের পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। রীতিমত হিট স্ট্রোকের সম্মুখীন হয়েছে গোটা রাজ্য বেশ কদিন ধরেই। এক একসময় এক একজায়গার তাপমাত্রা রাজস্থানের তাপমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে। গোটা চৈত্র মাসের পর বৈশাখ মাসের শেষের দিকে বঙ্গবাসী পেয়েছে বৃষ্টির দেখা। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত সপ্তাহ ধরে গোটা রাজ্য জুড়েই ঝড় বৃষ্টি হতে দেখা গেছে। কিছু কিছু জায়গায় শিলা বৃষ্টিও হতে দেখা গিয়েছে।
মূলত, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর জোড়া নিম্নচাপ অক্ষরেখা শুক্রবার অবস্থান করেছে আর সেই কারণে দুটি নিম্নচাপই বিস্তৃত আছে পৃথক দুটি ঘূর্ণাবর্ত থেকে। একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে উত্তর-পশ্চিম রাজস্থানের উপর। অন্যটি রয়েছে উত্তর বিহার ও সংলগ্ন এলাকার উপর। এছাড়াও বঙ্গোপসাগরে উচ্চচাপ বলয় থাকার ফলে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প সেখান থেকে বায়ুমণ্ডলে ঢুকছে। এর ফলে সারাদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঝড়বৃষ্টি হতে দেখা যাচ্ছে। শুক্রবারও উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রমেঘ তৈরি হয়। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বড় ধরনের ঝড়বৃষ্টি হয়নি।
তবে আগামীকাল অর্থাৎ সোমবারের পর থেকে আবহাওয়া অনেকটাই বদল হবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, মঙ্গলবার থেকে ঝড়বৃষ্টি কমে যাবে। আবহাওয়া দপ্তরের কথা অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের কোনও জেলাতেই ঝড়বৃষ্টির বিশেষ সম্ভবনা নেই।
আবার অন্যদিকে, ২০ মে’র আশপাশে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে বলে শুক্রবার ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর। আবহাওয়া অধিকর্তা জানান, নিম্নচাপটি শেষ পর্যন্ত হবে কি না বা হলেও তার গতিপ্রকৃতি কী হবে, সেটা আগামী দিনে আরো একটু ভালো করে বোঝা যাবে। এবং সেই মতোই পূর্বাভাস জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।