শেয়ার মার্কেটে নতুন আইপিওর প্রভাব
ক্রোনক্স ল্যাব সায়েন্স সম্প্রতি তাদের চতুর্থ ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফলাফল ঘোষণা করেছে। এই বছরের ১০ জুন কোম্পানির আইপিও লিস্টিং হয়, যার ইস্যু মূল্য ছিল ₹৬০। শেয়ার বাজারে লিস্টিংয়ের পরে শেয়ারটি প্রায় ₹১০০ এ লেনদেন শুরু হয়েছিল এবং বর্তমানে এটি প্রায় ₹৭০ এ লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানির আইপিও ১১৭ গুণ সাবস্ক্রিপশনে পূর্ণ হয়েছিল।
চতুর্থ ত্রৈমাসিকের ফলাফল
কোম্পানির চতুর্থ ত্রৈমাসিকের ফলাফল অনুযায়ী, ৫০ পয়সা প্রতি শেয়ার ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। এই ত্রৈমাসিকে কোম্পানি ২২ কোটি টাকার রাজস্ব অর্জন করেছে, যা আগের ত্রৈমাসিকের ২০ কোটি টাকার তুলনায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানির রাজস্ব ছিল ২১ কোটি টাকা।
খরচ এবং মুনাফা
কোম্পানির খরচের ক্ষেত্রে, গত ত্রৈমাসিকে কোম্পানি ১৪.৫ কোটি টাকা খরচ করেছিল। গত বছরের একই সময়ে এই খরচ ছিল ১৭.৫ কোটি টাকা। এই ত্রৈমাসিকে খরচ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং কোম্পানির ইনভেন্টরি থেকে ১.৫ কোটি টাকার লাভ হয়েছে, যা আগের ত্রৈমাসিকে ৭০ লাখ টাকা ক্ষতির বিপরীত। ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্টের কারণে কোম্পানির খরচ কমেছে।
প্রফিট এবং ইপিএস
গত ত্রৈমাসিকে কোম্পানির প্রফিট ছিল ৪.৮ কোটি টাকা, যা এই ত্রৈমাসিকে ৫.৮ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। বছরে বছরে প্রফিট প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে এবং ত্রৈমাসিক ভিত্তিতেও প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইপিএস (প্রতি শেয়ারে আয়) গত ত্রৈমাসিকে ছিল ১.৩২ টাকা, যা এই ত্রৈমাসিকে ১.৬০ টাকা হয়েছে।
যদিও কোম্পানির রেভিনিউ এবং প্রফিট বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য কোম্পানির রেভিনিউ গ্রোথ যথেষ্ট নয়। বছরের পর বছর কোম্পানির রেভিনিউ প্রায় ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা একটি ছোট কোম্পানির জন্য পর্যাপ্ত নয়।
[আরো পড়ুন:👉 আগামী দিনে শেয়ার মার্কেটের ভবিষ্যৎ কি ? জেনে নিন বিশেষজ্ঞের মতামত ।]