আজকাল বলিউডে এক নম্বর অভিনেত্রীদের কথা বললেই যাদের নাম গুলি সকলে সবার আগে নেয় তারা দীপিকা পাডুকোন, আলিয়া ভাট, কিয়ারা আডবাণী এরকম অনেকেই রয়েছেন। কিন্তু নব্বই দশকের সেরা অভিনেত্রীদের কথা বললে যেমন মাধুরী দীক্ষিত, ঐশ্বর্য রাই, কাজল এদের কথা বলতে হয় সেরকমই আরেকজন অভিনেত্রী ছিলেন কারিশমা কাপুর। তার নানা হিট মুভি তার সাহসী ড্রেস পরা সেই সময়ের যুবকদের বুকে ঢেউ তুলে দিতে বাধ্য করত।
কিন্তু এই অভিনেত্রীর আর্থিক অবস্থা সচ্ছল হলেও তার ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক স্ট্রাগল করতে হয়েছে। তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সাথে যুক্ত। এর পরেও তাকে নিয়ে অনেক কথাই হয়েছে।
আসুন তার ফিল্মি ক্যারিয়ার কেমন ছিল সে বিষয়ে একটু জেনে নিই।
৯০ এর দশকের বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী সম্প্রতি তাঁর ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলোর সংগ্রামের কথা তুলে ধরেছেন একটি পিঙ্কভিলাতে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে।
তিনি জানান, কিভাবে তরুণ বয়সে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার জন্য তাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছিল এবং কীভাবে বিভিন্ন সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল।
তিনি বলেন, “মানুষজন বলতো, ‘ও তো রণধীর কাপুরের মতো লাগে, কিন্তু গোঁফ ছাড়া। ও খুব ফর্সা, পাণ্ডুর, ওর হালকা চোখ।’ একটি ১৬-১৭ বছরের মেয়ের জন্য এসব মন্তব্য শোনা খুবই কঠিন ছিল।
এদিকে ৯০ এর দশকে কাজের চাপ সম্পর্কে তিনি বলেন, এক সময় তিনি দিনে চার থেকে পাঁচ টা শিফট করতেন। তখনকার দিনগুলো ছিল একেবারেই ভিন্ন। এমন সময়ও ছিল যখন তিনি একটি সিনেমার সেটে অন্য সিনেমার সংলাপ বলে পেলতেন। এতটাই স্ট্রেসড্ থাকতেন কারণ।
পরিবারের দিক থেকে কেমন সাপোর্ট পেয়েছিলেন সেই প্রসঙ্গে কারিশমা বলেন, মাত্র ১৬-১৭ বছর বয়স তখন স্কুল থেকে সরাসরি সিনেমার সেটে চলে যেতেন। তখন তার পরিবার তাকে সবসময় বলত, অনেক কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কারণ যখন তার সিনেমা মুক্তি পাবে, কেবলমাত্র তখন দর্শকরাই ঠিক করবে যে সে আদতে সফল হবে কিনা।
কিন্তু করিশমা জানান, তার মধ্যে ছিল দৃঢ় মনোবল যে তাকে এটা পারতেই হবে। এছাড়াও, আধুনিক সময়ের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, যে আজ সবকিছুই অনেক বেশি স্ট্রিমলাইন এবং পেশাদার হয়ে গেছে, কিন্তু তখনকার দিনে এক আবেগময় যাদু যেন কাজ করত।
এই অভিনেত্রীর সংগ্রাম এবং সাফল্যের গল্প আজকের প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণা। এখনকার প্রজন্ম অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পরে, জীবনের আপস ডাউন নিতে পারে না। তাই তাঁর কঠোর পরিশ্রম তার ধৈর্য এখনকার প্রজন্মকে অনেক কিছু শেখায়।
Leave a Reply