many people doing yoga in open field background mountain
,

আন্তর্জাতিক যোগ দিবস 2024: শ্রীনগরের SKICC হলে প্রধানমন্ত্রীর যোগ সেশন শুরু

২১ জুন ২০২4: শ্রীনগরের SKICC হলে আজ ১০ম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যোগাভ্যাসে অংশ নিয়েছেন। অনুষ্ঠানটি দেশ এবং সমস্ত বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হচ্ছে। শ্রীনগরের এই বিশেষ আয়োজনের প্রেক্ষাপট কী তা জানাতে সেখানে উপস্থিত আছেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা।

মনোজ সিনহা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, “আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের মূল আয়োজনের স্থান হিসাবে জম্মু ও কাশ্মীর বেছে নেওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী মোদি সবসময় জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরিকদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য কাজ করে এসেছেন।”

প্রধানমন্ত্রী মোদি গত দশ বছর ধরে যোগাকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে গেছেন। ২০২৩ সালে তিনি প্রথমবারের মতো বিদেশে, নিউইয়র্কে, জাতিসংঘের সদর দপ্তরে যোগ দিবস উদযাপন করেছিলেন। সেখানে ১৮০টি দেশের মানুষ তার সাথে যোগাভ্যাসে অংশ নিয়েছিলেন।

এবছর শ্রীনগরের ডাল লেকের তীরে মূল অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে তা SKICC হলে স্থানান্তরিত হয়। যদিও ডাল লেকের তীরে আয়োজন করা সম্ভব হয়নি, তবুও ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ শ্রীনগরের বিভিন্ন স্থানে যোগাভ্যাসে অংশ নিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা SKICC হলে উপস্থিত থেকে যোগাভ্যাস করছেন। মনোজ সিনহা জানান, “এই আয়োজন জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়ন যাত্রায় একটি নতুন অধ্যায় সংযোজন করেছে।”

যোগ দিবসের এই আয়োজনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদি বিশ্বজুড়ে যোগার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় থেকে যোগাভ্যাস মানুষের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। যোগা এখন আর বিশেষ কোনো ধর্মের সাথে যুক্ত নয়, বরং এটি শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির একটি মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বক্তা যোগের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করেন। যোগা কেবল শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য নয়, বরং মানসিক ও আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই বছর, ১০ম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে শ্রীনগরের এই আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে ভারতের যোগ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের গুরুত্ব পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

[আরো পড়ুন:👉 পড়তে পড়তে একঘেয়ে লাগে? বিরক্তিকর মনে হয়? এমন মনে হলে অবশ্যই এটি পড়ুন। এখানে রইল বিশেষ কিছু টিপস যাতে পড়াশোনার ইচ্ছে আবার ফিরে আসবে।]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts