আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই পড়াশোনার গুরুত্ব অসীম। দৈনন্দিন জীবনে সব কিছুতেই পড়াশোনা না জানলে পিছিয়ে পড়তে হয়। তাই শুধু মাত্র চাকরি করে রোজগার করার জন্য নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের জন্য হলেও পড়াশোনা অবশ্যই জানা জরুরী।
কিন্তু অনেকেরই এক টানা পড়তে পড়তে পড়াশোনার প্রতি ধৈর্য হারিয়ে যায়। তখন পড়াশোনাটা একঘেয়ে লাগে। কিন্তু পড়াশোনার সঠিক কৌশল জানলে পড়াশোনা আর বিরক্তিকর মনে হবে না বরং ভালো লাগবে।
মূলত যে বিষয় গুলির উপর নজর দিতে হবে সেগুলো হলো :-
১. একটা বিষয়কে নিয়ে সারাদিন পড়ে থাকলে হবে না। সব রকমের বিষয়ই একটু একটু করে পড়তে হবে তাহলে বোরিং লাগবে না।
২. প্রতিদিন আমরা যে পড়ছি আমাদের মাথায় কতটা নিতে পারছে সেটা চেক করে দেখা ভীষণ জরুরী। যেমন ধরো রোজ যদি ছোট ছোট মক টেস্ট দেওয়া যায়, নিজেই যেটা পড়লাম না দেখে লিখে বোঝার চেষ্টা করা যে কতটা মনে রাখতে পারছি। এভাবে নিজেকে পরীক্ষা করলে অনেকটাই মাথায় ধরে রাখা যায় পড়া গুলিকে।
৩. দরকার পর্যাপ্ত ঘুমও। যা কিছু পড়লেন সেগুলো রোজ রিভিউ করুন। তারপর যতটুকু ঘুমের দরকার ঘুমোন। ঘুমের মধ্যে আমাদের মস্তিষ্ক পড়া গুলিকে স্টোর করে।
৪. এছাড়াও, পড়ার জন্য চাই একটু শান্তিপূর্ন পরিবেশ। যাতে কোনো রকম আওয়াজ, কোলাহল ছাড়াই যেটুকু পড়ছেন সেটুকু শুনে মনে রাখতে পারেন।
৫. অনেকেরই আছেন একা একা ভালো লাগে না পড়তে। তারা গ্রুপ স্টাডি করতে পারেন। সঙ্গীদের সাথে পড়লে অনেকেই ভালো পড়েন।
৬. এক টানা না পরে অল্প অল্প বিরতি নিন এতে একঘেয়ে ভাব কমবে।
৭. রোজ একটু সময় করে হলেও ব্যয়াম বা মেডিটেশন করুন। এতে শারীরিক ভাবে ফিট থাকবেন। আর শরীর ঠিক থাকলে মাথাও ভালো কাজ করবে।
৮. আজকাল তো আবার নানা রকম পদ্ধতি বেরিয়ে গিয়েছে সেগুলোর দ্বারা পড়া মনে রাখা অনেক সহজ হয়ে পড়েছে। যেমন – আক্রনিম, মেমনিক্স।
এই নিয়ম গুলি ফলো করলে আপনি অনেক বেশি পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হতে পারবেন।
[আরো পড়ুন:👉 এবার সরাসরি বাবর-সমালোচনায় অবতীর্ণ হলেন কৃষ্ণামাচারী শ্রীকান্ত]
1 thought on “পড়তে পড়তে একঘেয়ে লাগে? বিরক্তিকর মনে হয়? এমন মনে হলে অবশ্যই এটি পড়ুন। এখানে রইল বিশেষ কিছু টিপস যাতে পড়াশোনার ইচ্ছে আবার ফিরে আসবে।”