জার্মানিতে গাঁজা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এপ্রিলে আংশিকভাবে গাঁজা বৈধ করার পর থেকে সেখানে গাঁজা চাষের সরঞ্জাম ও বীজের বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্করা এখন বেশ পরিমাণে গাঁজা সংগ্রহ এবং তিনটি গাছ পর্যন্ত চাষ করতে পারেন। যারা গাঁজা কিনতে চান, তাদের জন্য এই মাসের শুরুতে চালু হওয়া ‘ক্যানাবিস ক্লাব’ নামে পরিচিত একটি নতুন ব্যবস্থা রয়েছে।
মার ক্যানাবিসের প্রতিষ্ঠাতা নীলস হারবারসের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ক্যানাবিস ক্লাবগুলো কীভাবে কাজ করে। তিনি বলেন, “একটি ক্যানাবিস ক্লাব হলো একটি ক্লাব সংগঠন, যা ইইউ আইনের কারণে কিছুটা জটিল। জার্মান সরকার এটি বাণিজ্যিক নয় বরং অলাভজনক ক্লাব হিসেবে চালু করেছে। মূলত কিছু লোক একসাথে গাঁজা চাষ ও সংগ্রহ করে এবং সেই ফসল নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়।”
জার্মানির আইন অনুযায়ী, একটি ক্লাবে সর্বোচ্চ ৫০০ জন সদস্য থাকতে পারেন এবং এসব ক্লাবগুলি অলাভজনক হওয়ায় তাদের আর্থিক নিয়মাবলী মানতে হয়। তবে সরকার একাধিক ক্লাবের পরিবর্তে একটি প্রধান সংগঠনের সাথে আলোচনা করার জন্য মার ক্যানাবিসের মতো একটি ছাতার সংগঠনের কথা বিবেচনা করছে।
বর্তমানে জার্মানিতে কতগুলো ক্লাব রয়েছে তা জানা কিছুটা কঠিন, কারণ অনেক ক্লাব এখনও নিবন্ধিত হয়নি। উদাহরণস্বরূপ, হামবুর্গে ১.৮ মিলিয়ন বাসিন্দা থাকলেও মাত্র ১২টি নিবন্ধিত ক্লাব রয়েছে। সারা দেশে ক্লাবের সংখ্যা ১০০ থেকে ২০০ হতে পারে।
এপ্রিলে গাঁজা বৈধ হওয়ার পর থেকে সমাজে গাঁজার ব্যবহার নিয়ে মানুষের মনোভাবেও পরিবর্তন এসেছে। নীলস হারবারস বলেন, “এখন রাস্তায় রাস্তায় গাঁজার গন্ধ পাওয়া যায় এবং লোকেরা প্রকাশ্যে ধূমপান করে। ফলে গাঁজা নিয়ে আর কোনো কলঙ্কজনক মনোভাব নেই।”
অবৈধ গাঁজা বিক্রি কমেছে কি না সে বিষয়ে এখনও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। নীলস হারবারস বলেন, “এখনও পর্যন্ত বৈধভাবে গাঁজা পাওয়ার তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই, ফলে কালোবাজারের লাভ হচ্ছে। ক্যানাবিস সামাজিক ক্লাবগুলোকে লাইসেন্স পেতে এবং চাষ শুরু করতে সময় লাগবে। সম্ভবত ছয় মাসেরও বেশি সময় লাগবে, তারপর আমরা কালোবাজারের উপর কোনো প্রভাব দেখতে পারব।”
[আরো পড়ুন:👉আইসক্রিমের মধ্যে পাওয়া গেল মানুষের কাটা আঙুল]