এই বছরের গরম যেনো আগের সব বছরকেই ছাপিয়ে গেলো। মার্চ ও এপ্রিল মাস জুড়ে বিভৎস গরমে সাধারণ মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছিল। সকলেই আশা করেছিল জুন মাসের শুরুতে এই দাবদাহ কিছুটা কমবে, কিন্তু সেটা হয়নি উল্টে আবারো সেরকমই গরমে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে।
বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ এতটাই বেশি যে ভ্যাপসা গুমোট গরমে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। এদিকে উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনই বর্ষা আসার কোনো চান্স নেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিভৎস গরম পড়ার কারণেই রাজ্যের সরকারি স্কুল গুলিতে সময়ের অনেক আগেই এই বছর গ্রীষ্মের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল ৬ মে, সেখানে গরমের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল গত ২২ এপ্রিল। প্রায় ১৫ দিন আগে এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল ছুটি। ঠিক হয় এই মাসের ৩ তারিখ স্কুল খুলবে।
কিন্তু সেদিন শিক্ষক শিক্ষিকারা উপস্থিত থাকলেও ভোটের আবহে ছাত্র ছাত্রীদের আসতে মানা করা হয়েছিল। অবশেষে আগামী ১০ জুন ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলে আসার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কিন্তু আবারো শোনা যাচ্ছে আরও একটা দিন ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।
গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে নবান্নের তরফ থেকে। তবে সেই ছুটি গোটা একদিনের জন্য নয়, অর্থাৎ হাফ ডে ছুটি পেতে চলেছে রাজ্য। সামনেই জামাই ষষ্ঠী । আর সেই উপলক্ষে দুপুর ২টো থেকে সমস্ত সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস কাছারি ছুটি হয়ে যাবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রতি বছরই জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে রাজ্য সরকারি কর্মচারিরা হাফ ডে ছুটি পান। তবে ২০২১ সালে এক ব্যতিক্রম ঘটেছিল। জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে সরকারি কর্মীরা পূর্ণ দিবস ছুটি পেয়েছিলেন সেই বছর। তবে এ বছর হাফ ছুটিই থাকছে। এদিকে এত ছুটিতে বাচ্চাদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে বলেও একাংশ মনে করছেন।
- [আরো পড়ুন:👉 গভীর রাতে ভূমিকম্প কেঁপে উঠল গোটা গ্রাম]