রাত পোহালেই মুসলিমদের খুব জনপ্রিয় একটি উৎসব ঈদ উল আযহা পালিত হবে। এই বছর ১৬ই জুন রবিবার পড়েছে এটি, তবে সবটাই চাঁদ কখন উঠবে তার উপর নির্ভর করে। এটি মূলত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দু’টো ধর্মীয় উৎসবের একটি। বাংলাদেশে এই উৎসবটি কোরবানির ঈদ নামে পরিচিত।
এই উৎসবটির অর্থই হলো এটি ‘ ত্যাগের উৎসব ‘। আসলে এটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ত্যাগ করা। এ দিনটিতে মুসলমানেরা তাদের সাধ্যমত ধর্মীয় নিয়মানুযায়ী উট, গরু, দুম্বা কিংবা ছাগল আল্লাহর নামে কোরবানি করে বা জবাই দেয়।
তাই যারা এই আল্লার নাম করে কোরবানি দেন তারা এগুলি বিভিন্ন আত্মীয় , পরিবারের মধ্যে বিলিও করেন। এই দিনটি তাদের কাছে এক অন্যরকমেরই মাহাত্ম্য রাখে। তবে এখন সময় বদলেছে এখন শুধু আর মাংস বিতরণ হয়না তার সাথে আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে নানা রকম গিফট আদান প্রদান ও হতে থাকে।
ঈদ উল আযহার শুভ তিথিতে নিজের পরিজনকে কি গিফট্ দেবেন সেই বিষয়ে একটু জেনে নেওয়া যাক।
মূলত এই দিনটি সকলে খাওয়া-দাওয়া, আনন্দ -ফুর্তি করে কাটায়। তাই আপনি চাইলে খাবার দাবারের কিছুও দিতে পারেন।
১. নানা রকমের মিষ্টি :- যেকোনো শুভ দিনেই মিষ্টি মুখ না করলে হয়না। তাই লাড্ডু , কাজু বরফি, রাবড়ি এসব দেওয়াই যায়।
২. নানা রকমের সিজনাল ফল :- এখন এই গ্রীষ্মের মরশুমে আম, কলা, লিচু, কাঁঠাল, তরমুজ এসবও দিতে পারেন।
৩. ড্রাই ফ্রুট :- এখন বিভিন্ন ভাবে অনেক রকম ড্রাই ফ্রুট প্যাকিং করে দোকানে বিক্রি হয়। কাজু , কিসমিস , পেস্তা, আলমন্ড, খেজুর, এগুলিও গিফট হিসেবে দেওয়া যায়।
৪. ড্রেস :- যেকোনো অনুষ্ঠানেই সকলে আশা করে একটা নতুন জামা হলে দারুন হয়। তাই বাড়ির ছোট – বড়দের সকলকে কিছু জামা কিনে দিতে পারেন।
৫. পারফিউম :- আজকাল ভীষণ সফিস্টিকেটেড একটি গিফট হলো পারফিউম বা আতর। সুন্দর সুগন্ধি ভালবাসেনা এমন জগতে খুব কম মানুষই হয়তো থাকবেন। তাই নিজের প্রিয় মানুষকে এই দিনটিতে একটি সুন্দর গন্ধের সুগন্ধি গিফট করুন সে খুশি হবে।
[কিছু অনলাইন গিফ্টস্ এর লিংক দেওয়া হল দেখে পছন্দ হলে দিতে পারেন]👇
1 thought on “রাত পোহালেই ঈদ উল আযহা। প্রিয়জনকে নিশ্চই কিছু দিতে চান এই দিনটিতে? কি দেবেন ভেবে পাচ্ছেন না। রইল সমাধান।”