রাত পোহালেই মা বিপদতারিণীর পূজা। আষাঢ় মাসে রথ যাত্রা ও উল্টোরথের মাঝখানে এই ব্রত টি পালন করা হয়। মঙ্গল ও শনিবার এই দুই দিন এই ব্রত হয়। যেকোনো একদিন এই ব্রত পালন করলেই হবে। তবে এই ব্রত করতে বেশ কিছু নিয়ম পালন করতে হয়।
সাধারণত পরিবারের মঙ্গলকামনায় এই ব্রত পালন করেন মহিলারাই। তবে পুরুষরাও ব্রতী হন। কী কী নিয়ম পালন করবেন এই ব্রত ও পুজো পালনে, বলছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি আসুন নিয়ম গুলি জেনে নিন।
এই পুজো করতে যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হলো ১৩ টি ফুল এবং ১৩ টি ফল , যা নিবেদন করা হয় বিপত্তারিণী দেবীর পুজোয়। এছাড়াও ১৩ গাছি লাল সুতো, ১৩ টি ফল কেটে এবং ১৩ টি ফল গোটা নিবেদন করা হয়।
এইদিন কোনো রকম অন্ন জাতীয় খাবার খাওয়া যায় না। সবাই শুকনো কিছু খান। বলা হয় ১৩ টি লুচি খেতে হয় এই দিন। এক আসনে বসে যা খাওয়ার খেয়ে খবর জলে দিয়ে দিতে হয় আর সারাদিন কিছু খেতে নেই। তবে যদিও এখন সবাই একবারে না পারলে দু বারে খবর খেয়ে থাকে, কারণ অনেকেই মনে করেন খাবার নষ্ট করলেও তো দেবী অসন্তুষ্ট হতে পারেন।
এইদিন এই পুজোর তিথিতে ঝগড়া বিবাদ থেকে বিরত থাকুন। বাক সংযম পালন করে নিষ্ঠা ভরে পুজো করুন। কাউকে ধার এইদিন যেমন দেবেন না সেরকম নেবেন না।
পুজো দেওয়া হয়ে গেলে পুজোর শেষে ১৩ গাছি দুর্বা, ১৩ টি গিঁট বাঁধা লাল সুতো মহিলারা পরুন বাঁ হাতে। পুরুষরা এই সুতো বাঁধুন ডান হাতে। এভাবেই এই ব্রত পালন করতে হয়। এতে মা বিপদ তারিণী যেমন সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা করে সেরকম পরিবারেও কোনো বিপদ আসতে দেয় না। মা বিপদ তারিনীকে নিষ্ঠা ভরে ডাকলে মা তার কৃপা সব সময় বজায় রাখেন ভক্তদের উপর।
[আরো পড়ুন:👉 বিশ্বের বৃহত্তম হিন্দু মন্দির: তামিলনাড়ুর শ্রীরঙ্গমের শ্রী রঙ্গনাথ স্বামী মন্দির]