আগামীকাল রবিবার, বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তিরোধান দিবস পালিত হবে। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের ১৯ জ্যৈষ্ঠ (ইংরেজি ১ জুন ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দ) তিনি মহাপ্রয়াণ লাভ করেন। সেই থেকে ১৯ জ্যৈষ্ঠ দিনটি লোকনাথ বাবার তিরোধান দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
চলতি বছর, ২০২৪ সালে, এই পবিত্র দিনটি ২ জুন, রবিবারে পড়েছে। সারা দেশে ও বিদেশে বসবাসকারী ভক্তরা এই দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করবেন। বিশেষ পুজো ও প্রার্থনার আয়োজন করা হবে লোকনাথ বাবার আশ্রম ও মন্দিরগুলিতে।
এদিন পুজোর শুভ সময় রয়েছে চারবার। প্রথম দুটি শুভ সময় সকাল ৬.৪৩ মিনিটে এবং ৯.২৫ মিনিটে। এরপর দুপুরে আরও দুটি শুভ সময়— ১২.০৬ মিনিটে এবং ২.৪৭ মিনিটে। এই চারটি সময়ের যেকোনো একটিতে পুজো করা অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই দিনটিতে ব্রহ্মচারী লোকনাথ দেবের পুজো করলে জীবনের সমস্ত বাধা-বিপত্তি কেটে যায়, ফিরে আসে শান্তি এবং মঙ্গল হয় সংসারে।
বাবা লোকনাথের জীবনাবসান কিভাবে ঘটেছিল, তা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের বারদী আশ্রমে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর সমাধি অবস্থিত। কথিত আছে, এই আশ্রমেই তিনি মহাসমাধি লাভ করেন। বারদীতে বসবাসকালে লোকনাথ বাবার এক ভক্তের ছেলের যক্ষা রোগ ধরা পড়ে। সেই রোগ সারানোর জন্য ভক্তরা লোকনাথ বাবার শরণাপন্ন হন। যক্ষ্মা রোগটি লোকনাথ বাবার শরীরে সঞ্চারিত হয় এবং ক্রমে তাঁর শরীর দুর্বল করে দেয়।
এরপর ১৯ জ্যৈষ্ঠ লোকনাথ বাবা তাঁর দেহত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। সেদিন বারদী আশ্রমে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। ১৯ জ্যৈষ্ঠ, দুপুর ১১টা ৪৫ মিনিটে মহাসমাধিতে মগ্ন হন লোকনাথ ব্রহ্মচারী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ১৬০ বছর।
এই বিশেষ দিনটি উপলক্ষে লোকনাথ বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁর আশীর্বাদ লাভ করতে ভক্তরা ভোর থেকে পুজো ও প্রার্থনায় মগ্ন থাকবেন। লোকনাথ বাবার জীবন ও কর্ম আমাদের কাছে চিরকাল অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
[আরো পড়ুন:👉 বাঁচার আশায় দুই তান্ত্রিকের কাছে গিয়ে মৃত্যু হলো এক যুবকের]