Two patients in hospital beds, one man sitting up and the other lying down.

ক্যান্সার প্রতিরোধের নানা রকম প্রযুক্তি দিশা দেখাচ্ছে বহু মানুষকে। জেনে নিন কিভাবে ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের আয়ু আর কিছুদিন বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে।

র্বকালের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রোগ হচ্ছে ক্যান্সার। কারণ এই একটা রোগে বাঁচার ১০০ শতাংশ সিওরিটি দেওয়া যায়না। আবার চিকিৎসার পরেও এই রোগ আবার ফিরে আসবে কিনা সেটাও বলা যায়না। তবে এভাবে অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার দিন এবার শেষ। আগে ক্যান্সার আক্রান্ত পেসেন্টকে তার অবস্থা বুঝে কেমোথেরাপি দেওয়া হতো যাতে যে কোষগুলি তাড়াতাড়ি বাড়ছে সেটা মেরে ফেলে এই কেমো। কিন্তু কেমো দিয়ে ক্যান্সার পুরোপুরি নির্মূল হয়না। ওই একই সমস্যা আবার ফিরে ফিরে আসতে পারে, তাই এই নিয়ে চিকিৎসকরা বরাবরই চিন্তায় থাকতেন। তবে বর্তমানে এই সমস্যার সমাধান বের করা গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্যান্সার বিশেষত একটি জিন ঘটিত রোগ তাই জিন টার্গেটেড থেরাপি একটি উপযুক্ত সমাধান বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মূলত স্বাভাবিক কোষের মধ্যে যে ডিএনএ বা জিন থাকে সেটা কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হয়ে গিয়েই ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে। একেই বলে জিন মিউটেশন। এমন মিউটেশন শরীরে অনেক পাওয়া যায় আর তার মধ্যে এমন অনেক মিউটেশন রয়েছে যার বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার মতো অনেক ওষুধও পাওয়া যায়, আর একেই বলে জিন টার্গেটেড থেরাপি। এই থেরাপি দিয়ে অনেকটাই আয়ু বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে ক্যান্সার পেশেন্টদের।
এই জিন টার্গেটেড থেরাপির তবে কিছু সিস্টেম রয়েছে। এই যেমন প্রথমে মিউটেশন সিলেক্ট করতে হবে যে কোন মিউটেশন এটি হচ্ছে এর জন্য একটা স্ক্যান করতে হয় যার নাম কম্প্রিহেনসিভ জেনোমিক প্রোফাইলিং। এটি করে দেখে নিয়ে তারপর তার থেরাপি হয়। যেমন ব্রেস্ট ক্যানসারের ক্ষেত্রে এভাবে পরীক্ষা করে নিয়ে হরমোন থেরাপি দেয়া যায়। এভাবে অনেকদিন বাঁচে সেই পেসেন্টটি। তাই কেমোথেরাপির থেকেও এই জিন টার্গেটেড থেরাপি অনেকটাই কার্যকরী বলে মনে করছেন এখনকার চিকিৎসকরা।

[আরো পড়ুন:👉সুস্থ লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর! বারবারা ও’নীল-এর পরামর্শ!]

One response to “ক্যান্সার প্রতিরোধের নানা রকম প্রযুক্তি দিশা দেখাচ্ছে বহু মানুষকে। জেনে নিন কিভাবে ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের আয়ু আর কিছুদিন বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts