বর্তমানে একটি ভিয়েতনামী ফল সেখানের জাতীয় ফল পশ্চিমবঙ্গের বুকে ধীরে ধীরে তার স্থায়িত্ব বাড়াচ্ছে। প্রায় দশ বারো বছর ধরে এই ফল চাষ পশ্চিমবঙ্গে একটু একটু করে শুরু হলেও সেভাবে জনপ্রিয়তা পায়নি কিন্তু শেষ দু – তিন বছরে এর জনপ্রিয়তা ভালই বেড়েছে। যে ফলটির কথা বলছি এটির নাম হলো ড্রাগন ফ্রুট। দেখতে লোভনীয় হলেও টেস্ট যে দারুন তেমন নয়। কিন্তু এর পুষ্টিগুণ শুনলে যে কেউ এটা খেতে চাইবে। ভিটামিন সি থেকে শুরু করে মিনারেলস সবই রয়েছে এই ফলে। বাচ্চাদের পুষ্টির জন্য এই ফল খুবই উপকারী, পাশাপাশি বড়দের যাদের বিশেষ করে ডায়াবেটিস রয়েছে, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে এই ফল খেলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুধু তাই নয় ওজন কমাতেও এই ফল খাওয়া খুবই ভালো।
সম্প্রতি একটি বিষয় সামনে এসেছে যে এতদিন কৃষকরা এই ফল চাষে আগ্রহী ছিলেন এখন স্কুলে স্কুলের স্যার ম্যাডাম রাও এই চাষ করতে চাইছেন। যে স্কুল গুলিতে জায়গা রয়েছে সেই জায়গায় এমন চাষ শুধু যে বাচ্চাদের পুষ্টি দিতে সক্ষম হবে তাই নয় এটা একটা আয়ের দিকও খুলে দেবে।
রায়নার মাদানগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ড্রাগন ফ্রুট চাষের উদ্যোগ সত্যিই একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এই স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীরা মিলে স্কুলের ছাদে প্রায় ৭০ টি এই ড্রাগন গাছ লাগিয়েছেন। শুধু ছাদে নয় স্কুলের আসে পাশেও লাগিয়েছেন। প্রায় ১৭০ টি গাছ লাগানো হয়েছে। তার মধ্যে বেশ কিছু গাছ থেকে এখনই ফল দিতে শুরু হয়ে গিয়েছে। এই স্কুলে ১৯০ জন ছাত্র ছাত্রীরা রয়েছে। তাদের সকলকেই দুপুরে মিড ডে মিল এর শেষে এই ফল দেওয়া হচ্ছে। আর বাদ বাকি সব গাছ গুলি যখন ফল দিতে শুরু করবে এগুলি বাজারে বিক্রি করে যে আয় হবে তা থেকে বাচ্চাদের অন্যান্য খাবার ও দেওয়া যাবে।
রায়নার মদানগর স্কুলের এই উদ্যোগে ওখানের শিক্ষা পর্ষদ থেকে ডেপুটি সকলেই খুব খুশি।
বর্ধমান জেলার পরিষদের শিক্ষা কর্মধ্যক শান্তনু কোনার জানান, প্রতিটা স্কুলেই ‘ কিচেন গার্ডেন ‘ করার কথা আমরা বলে থাকি। অনেক স্কুলেই তার আশে পাশে জায়গা থাকা সত্ত্বেও কিছুই করে না। রায়নার এই স্কুলের এমন উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়।
[আরো পড়ুন:👉স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য রেসভেরাট্রল: সত্যি নাকি মিথ্যা?]
Leave a Reply