ছাত্রদলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ

 

ছাত্রদলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। গত রোববার (১৭ এপ্রিল) এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপরই সভাপতি শ্রাবণকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। কারণ তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এমন পরিবারের সন্তান। তার বাবা কাজী রফিকুল ইসলাম কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। এসব বিষয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেন শ্রাবণ

জাগো নিউজ: আপনার পরিবার বলছে তাদের সঙ্গে নাকি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, এনিয়ে আপনার মনে কষ্টের কারণটা কী?

শ্রাবণ: ১০ বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক; কারণ আমার পরিবার ভিন্ন মতাদর্শের রাজনীতি করে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে আমার মতাদর্শে রাজনীতির চর্চা করি। পরিবার হয়তো মনে করছে আমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে তাদের রাজনৈতিক ক্ষতি হতে পারে। তাই তারা যোগাযোগ রাখেনি, কিন্তু আমি চেষ্টা করেছি। এটা শুধু আমার পরিবারে নয়, বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারেই দেখবেন। এখন ইউনিয়ন পর্যায়ের রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক চর্চা, সহিষ্ণুতা নেই। দলীয় প্রতীক ইউনিয়ন পর্যায়ে যাওয়ার পর বর্তমান সরকার তৃণমূলের ঘরে ঘরে গ্রুপিং করে দিয়েছে। আমার পরিবার যেহেতু আওয়ামী লীগ করে, তাই তারা তো আওয়ামী লীগের চরিত্রের বাইরে কিছু নয়। তারা আমাকে অস্বীকার করবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য মানবিক কারণে আমার দুঃখ প্রকাশ করা। বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতে পারি না, তবে আদর্শিক কারণে আমি গর্বিত। সংগঠনের কারণে আমাকে বিসর্জন দিতে হয়েছে পরিবার, আর দল আমার সেই আত্মত্যাগের মূল্যায়ন করেছে।

জাগো নিউজ: ছাত্রদলের সর্বোচ্চ দায়িত্ব পাওয়ায় পরিবার আপনাকে কীভাবে দেখছে?

শ্রাবণ: ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমেই আমি মায়ের মাধ্যমে পরিবারকে জাতীয়তাবাদী আদর্শের রাজনীতিতে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। অনেক আওয়ামী পরিবারের ছাত্র রয়েছে, যারা শিক্ষিত-মার্জিত। ছাত্রদলের প্রতি এখন আস্থা তৈরি হবে। আপনারা ছাত্রদলে আসেন। আপনারা যোগ্যতা দিয়ে ছাত্রদলে আমার মতো সর্বোচ্চ জায়গায় পদায়িত হন।

জাগো নিউজ: আন্দোলনসংগ্রামে ছাত্রদলের কাছে বিএনপির যে প্রত্যাশা তা পূরণে কতটুকু তৈরি?