দিমুথ করুণারত্নের সেঞ্চুরিতে প্রতিরোধ গড়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তা সত্ত্বেও ম্যাচ শেষ হয়ে গেল আড়াই দিনেই।
আর টানা দুই জয়ে সিরিজ ঘরে তুললো ভারত।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষে টেস্টে ২৩৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে রোহিতবাহিনী। দিন-রাতের টেস্টের তৃতীয় দিনে স্বাগতিকদের ছুড়ে দেওয়া ৪৪৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২০৮ রানেই গুঁটিয়ে যায় লঙ্কানদের দ্বিতীয় ইনিংস।
১ উইকেটে ২৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয় শ্রীলঙ্কার। করুণারত্নে আর কুশল মেন্ডিস মিলে দ্রুত রান তুলছিলেন। দুজনেই পান ফিফটির দেখা। কিন্তু দুজনের জুটিতে ৯৭ রান উঠার পর ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের শিকার হয়ে কুশল (৫৪) ফিরে গেলে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে লঙ্কানরা।
তবে একপাশ আগলে রেখে আশা দেখাচ্ছিলেন করুণারত্নে। কিন্তু অন্যপ্রান্তে কেউ তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। ফলে নিজে সেঞ্চুরির দেখা পেলেও দলের বিশাল পরাজয় ঠেকাতে পারেননি শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। ভারতীয় পেসার জসপ্রীত বুমরাহর বলে বোল্ড হয়ে যখন ১০৭ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন তিনি, ৭ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ তখন ২০৪ রান। এরপর ৪ রান যোগ হতেই বাকি ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা।
বল হাতে ভারতের অশ্বিন ৪টি এবং বুমরাহ ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া ২টি উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল এবং বাকি উইকেট যায় রবীন্দ্র জাদেজার ঝুলিতে।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৫২ রান করেছিল ভারত। জবাবে ১০৯ রানে থামে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস। এরপর ৯ উইকেটে ৩০৩ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। ফলে লঙ্কানদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৪৭ রানের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত (১ম ইনিংস): ২৫২/১০ (শ্রেয়াস আইয়ার ৯২; লাসিথ এম্বুলদেনিয়া ৯৪/৩, প্রাভিন জয়াবিক্রমা ৮১/৩)
শ্রীলঙ্কা (১ম ইনিংস): ১০৯/১০ (অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ৪৩; বুমরাহ ২৪/৪, অশ্বিন ৩০/২, মোহাম্মদ শামি ১৮/২)
ভারত (২য় ইনিংস): ৩০৩/৯ ডি. (আইয়ার ৬৭, ঋষভ পন্থ ৫০; ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ৭৮/৪, এম্বুলদেনিয়া ৮৭/৩)