আজ থেকে ৬০-৭০ বছর আগেও দেশটির মানুষ ঠিক মত খেতে পারতো না, নদীর মাছ না পেলে ঘরের চুলা জ্বলত না। এমনটি একটি দেশ আজ সারা দুনিয়ার ধনী দেশেদের তালিকায় অবস্থান করছে। যে দেশটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সাথে এক সাথে স্বাধীন হয়েছে। অথচ আজকে বাংলাদেশ কোথায় আর কাতার কোথায়। ভাবা ই যায় না। বড় বড় অট্টালিকা, দামি দামি গাড়ি, এজেনো এক অন্য দুনিয়া। কি করে এত তারাতারি কাতার উন্নতির শিখরে পৌঁছে গেছে। তাই জানবো আজকে।
কাতার দেশটি উন্নতির পেছনে হচ্ছে তাদের মাটির নিচে প্রাকৃতিক সম্পদ। ৪০ দশক আগে কাতারের তেলের খেত্র আবিষ্কার হয়েছিল। সেই থেকে তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছিল। মাছ ধরার জাল ফেলে দলে দলে লোক যোগ দিলো তেলের কারখানাতে। লোকতেদের কাছে টাকা আসতে শুরু করলো। তবে তখন তেল কোম্পানি ব্রিটিশদের দখলে ছিল।
তাই তাদের লাভের বেশির ভাগ অংশ ব্রিটিশরা নিয়ে যেত। তবে আল্প দিনেই তাদের মাটির নিচের তেল খেত্র ফুরিয়ে গেল অল্প দিনে ই। ফলে দেশটির থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেল্ল সবাই। ফলে আবার দরিদ্রতা শুরু হয়ে গেল। কাজ নেই, টাকা নেই, খাবার নেই। চারিদিকে আবার হাহাকার।
৭০ দশকের আবার একটি অলৌকিক ব্যাপার হয়ে গেল। দেশটির উত্তর উপকূলে মাটির নিচে আবিষ্কার হলো বিশাল এক গ্যাসের মজুত। দুনিয়ার সব থেকে বড় গ্যাস ক্ষেত্র এটি। বদলে যেতে লাগলো আবার তাদের ভাগ্য। তারা চলতে লাগলো পরিকল্পনা মাফিক। তাদের গ্যাসের উত্তোলন ও পরিবহণ খরচ নামিয়ে আনলো শূনের কোঠায় নামিয়ে আনলো কাতার। আসে পাশে দেশের গ্যাসের উত্তলন খরচ কাতারের থেকে প্রায় পঁচিশ গুন। প্রাকিতিক এই সম্পদ দেখভাল করার জন্য একটি বোর্ড গঠন করা হয়, এবং সেই বোর্ড দেখাশোনা করেন খোদ কাতারের প্রধানমন্ত্রী নিজে।
এই প্রাকৃতিক সম্পদের সটীক ব্যাবহার করে আজ কাতার ধনী দেশের তালিকায়। জেনে অবাক হবে কাতার এয়ারলাইন্স সব থেকে বেশি যাত্রী বহন করে। বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবের স্পসর ছিল তারা। এছাড়া বড় বড় রিয়েল এস্টেটে ব্যবসায় তারা কোটি কোটি টাকা লগ্নি করে রেখেছে। দেশ ও দেশের বাহিরে।
তাদের চিন্তাভাবনা সৎ। তারা কেউ কারোটা মেরে বড়োলোক হওয়ার চিন্তা নেই তাদের মাথায়। যে যার পরিশ্রম দিয়ে উপরের সিঁড়িতে উঠেছে। আথচ আজ আমরা আজ আমরা কোথায় আর কাতার কোথায়। এক সাথে স্বাধীন হওয়া একটি দেশের উন্নতি দেখে আমাদের খুশির চাইতে কষ্টটা বেশিই পাবার কথা। আশা রাখছি আমরাও একদিন উন্নতির শিখরে পৌছাবো।